মিরপুর জেনারেল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের পুষ্টিবিদ তারানা জান্নাত মুমুর কাছ থেকে জেনে নিই বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
বিটরুটের পুষ্টি উপাদান
বিটরুট ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর। আয়রন, জিংক, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি ইত্যাদি উপাদান আছে এতে। এতে আরও রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।
বিটরুট খেলে পাবেন যে ৭টি উপকার
১. উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ একটা বয়সের পর নারীদের মনোপজ হয়। শরীর তখন যেমন বেশি পরিমাণে লবণ শোষণ করে খাবার থেকে।যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। যেখান থেকে শুরু হবে বুক ধড়ফড় করা, মাথাব্যাথা এবং উদ্বেগ। চিকিৎসা না করলেই পড়বেন বিপদে। বিটরুট কিন্তু এইক্ষেত্রে বেশ উপকারি গবেষণায় জানা গেছে বিটে রয়েছে নাইট্রেটস, যা রক্তনালী প্রসারিত করে ও রক্তচাপ কমিয়ে দেয়।
২. জ্বালা পোড়া বা প্রদাহ কমায়|
বিটরুটে থাকা নাইট্রেট রক্তনালীর প্রদাহ কমিয়ে দেয়। নাইট্রেট ছাড়াও বিটে পাবেন বেটালাইনস। এটি এক ধরনের পিগমেন্ট। বেটালাইনসও রক্তনালীর প্রদাহ কমিয়ে দেয়।এই দুটো উপাদান মিলেই আপনার শরীরে রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
৩. হজম শক্তি বাড়ায়|
হজমের সমস্যায় ভুগলে বিট খাওয়া শুরু করে দিন। কারণ, আপনার হজম সংক্রান্ত সকল সমস্যা দূর করবে বিট। বিট আঁশ জাতীয় খাবার। আঁশ জাতীয় খাবার হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ডাইভার্টিকুলাইটিস এমনকি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
৪. শারীরিক শক্তি বাড়ায়|
বয়সের সাথে সাথে শরীরের শক্তি কমে যায়। শরীরের শক্তি বাড়াতে চাইলে আপনাকে সাহায্য করবে বিট। বিট এমনই একটি সবজি যার বহু গুণ। বুড়ো বয়সে নাতি-নাতনির সাথে দৌঁড়াতে চাইলে খাদ্য তালিকায় বিটরুট যোগ করুন।
৫. মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়|
যত দিন যাবে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমতে থাকবে। ভুলে যাবেন সবকিছু। এক কাপ বিট খেলেই কিন্তু বেঁচে যাবেন এই অবস্থা থেকে। বিট মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয় এবং ব্লাড সুগার ঠিক রাখে।
৬. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়|
কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বিট খুব ভালো কাজ করে এবং এর ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পিগমেন্টের কারণে ধারণা করা হয় লাল বিট কার্সিনোজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে যেটি কোলন ক্যন্সারের জন্য দায়ী।
৭. দীর্ঘ-মেয়াদী চোঁখের যত্নে|
বিট চোঁখের জন্য খুবই উপকারি। সবুজ বিট কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায়। সিদ্ধ বা পরিপক্ক অবস্থায় এটিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা লুটেইন নামে পরিচিত। লুটেইন বয়স সম্পর্কিত চোঁখের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটিতে উদ্ভিদ উৎপাদিত ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যা চোঁখের স্বাস্থ্য এবং চারপাশের স্নায়ু টিস্যুগুলির শক্তি এবং সুস্থতা বাড়ায়।
খাওয়ার নিয়ম।
১ চামুচ বিটরুট এবং পানি ও পরিমাণ মতো মধু দিয়ে জুস,স্মুদি এবং এ ছাড়া
তরকারির সাথে রান্না করে অথবা সালাতের সাথে মিক্স করে খেতে পারেন।
আমাদের উপর কেন আস্থা রাখবেন ??
ডেলিভারি ম্যান দাড়িয়ে থাকা অবস্থায়
প্রোডাক্ট হাতে পেয়ে, দেখে,কোয়ালিটি চেক করে পেমেন্ট করার সুবিধা।
প্রোডাক্ট পছন্দ না হলে সাথে সাথে রিটার্ন দিতে পারবেন ।
সারা বাংলাদেশে কুরিয়ারের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি পাবেন।
খুব দ্রুত ডেলিভারি সিস্টেম।
যে কোন সময় আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন ।
আব্দুল জব্বার উত্তরা ঢাকা –
কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ফ্যাটি লিভারের অনেক উপকার পেয়েছি অনেক টাকার ওষুধ খেয়েছি কিন্তু এর আগে এতটা ভালো ফিল করে নেই।
আতাউর রহমান খুলনা –
এমন সুন্দর একটা প্রোডাক্ট দেওয়ার জন্য শুকরিয়া। খুব ভালো ফিল করতেছি আলহামদুলিল্লাহ অনেকটা আগের চেয়ে ভালো